এবিএনএ : যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, দেশ থেকে পঁচাত্তরের শত্রুদের বিনাশ করতে হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। রবিবার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন পরশ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা যারা তৈরি করেছিল তারা এখনো বিনাশ হয়ে যায়নি। তারা বিএনপি-জামায়াতের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে এদেশেই রয়ে গেছে। পঁচাত্তরের নরপিশাচ কুচক্রী মহল যারা, তারাই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি। তাদেরই সম্পৃক্ততা রয়েছে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায়।’
এদিকে যুবলীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও শহীদ মিনার এলাকায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি দেশকে ভালোবাসে না। ইতিহাস সে কথাই বলে। বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন। তারা যদি মানুষকে ভালোবাসতো তাহলে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করতো না। তারা যদি দেশকে ভালোবাসতো তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারতো না। এখনো তারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে ধ্বংস করার জন্য অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে।’
আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, রফিকুল ইসলাম, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক সামছুল কবির রাহাত, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ।